নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী জুটমিলের ১০০ জন মৃত শ্রমিকের গ্র্যাচুইটি, পিএফ ও বীমার টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্বজনেরা নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায় রাজশাহী জুটমিলের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন কয়েকজন শ্রমিক নেতা জুটমিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শরিফুল কবীরের দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কবে টাকা দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

শ্রমিকরা জানান, ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন সময়ের মধ্যে এই ১০০ শ্রমিক মারা যান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা প্রাপ্য টাকা পাননি। এ নিয়ে মৃত শ্রমিকদের স্বজনেরা জুটমিলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
রাজশাহী জুটমিল প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৯ সালে। স্বাধীনতার পর এটিকে জাতীয়করণ করা হয়। এখনও এটি বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের আওতায় পরিচালিত। লোকসানের কারণে ২০২০ সালের ২ জুলাই সরকার জুটমিলটিকে বন্ধ করে দেয়। বেকার হয়ে পড়েন ১ হাজার ২০৯ জন স্থায়ী এবং ১ হাজার ৫০ জন বদলি শ্রমিক।

রাজশাহী জুটমিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা মিলের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন টাকার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কবে হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা চাই। তা না হলে ১০০ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা আন্দোলন গড়ে তুলবেন।’

তিনি বলেন, ‘বাড়ির কর্মক্ষম ব্যক্তিটি মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবার কীভাবে চলছে সেটা শুধু ওই পরিবারের সদস্যরাই জানেন। করোনার মধ্যে অনেকের বাড়িতে চুলো জ্বলেনি। অথচ পাওনা টাকা পড়ে আছে। এটা হতে পারে না। সরকার এসব শ্রমিকদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে দ্রুত টাকা দেবে বলে আশা করি।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জুটমিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প প্রধান শরিফুল কবীরের মোবাইলে কয়েকদফা ফোন করা হলেও ধরেননি। তাই জুটমিলের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।